বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে মন খারাপ হতেই পারে। এর উপর আমাদের সত্যিকার অর্থেই কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে মন খারাপ ভালো করার উপর আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে অনেকাংশে। খুব বেশি মন খারাপ থাকলে তা স্বাভাবিক কাজকর্মের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।


কাজে ঠিকমতো মন বসে না, এবং দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার এই আবেগটি যখন কাজ করতে থাকে তখন যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয় তাও পরবর্তী জীবনের জন্য খারাপ হয়। তাই চলুন দ্রুত মন ভালো করে ফেলার কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক!


১. বড় করে শ্বাস নিন
যখন অনেক বেশি মন খারাপ হবে তখন তা আমাদের মস্তিষ্কে চাপ ফেলবে এবং মানসিক অশান্তি ও চাপ বাড়তে থাকবে। এই জিনিসটি দূর না করতে পারলে মন ভালো হবে না। তাই বড় করে শ্বাস নিন ও ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এতে মস্তিষ্ক রিলাক্স হবে ও মানসিক চাপ কমতে থাকবে। সেই সাথে কমবে মন খারাপের মাত্রাও।



২. পছন্দের গান শুনুন বা মুভি দেখুন
গান মানুষের মানসিক প্রশান্তি দান করে। কেননা গানের কথাগুলো বেশিরভাগ সময়ে মানুষের জীবনের সাথে এমনভাবে মিলে যায় যে মন খারাপের সময়ে গানের সুরগুলো বার বার শুনতে শুনতে একটা সময়ে মন খারাপের রেশ কেটে যায়।

৩. কিছু সময় চিৎকার করুন
ব্যাপারটি অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু আমরা অনেকেই আসলে জানিনা মন খারাপের সময়ে চিৎকার করলে সুফলটা কি পাওয়া যায়। সাইকোলজিস্টদের মতে আমরা যখন চিৎকার করি তখন আমাদের মস্তিষ্কে যে হরমোনের সৃষ্টি হয় তা মন খারাপের বিষয়টি দূর করে দেয়।





তাই অনেক বেশি মন খারাপ লাগলে চিৎকার করুন একলা বসে, আপন মনেই। অথবা লুকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদবেন না। চিৎকার করেই কেঁদে নিন খানিকক্ষণ।


৪. ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম মানুষের শারীরিক ক্লান্তি তৈরি করে যার ফলে মানসিক প্রশান্তি লাভ হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানুষ শুধু সুস্থ থাকতে পারে এটা ভাবলে নিতান্তই ভুল হবে। ব্যায়াম করলে শরীর থেকে ঘামের সাথে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসে এবং ক্লান্তি তৈরি হয় যার ফলে মন খারাপের ঘোর কেটে যায়।

৫. পছন্দের মানুষের সাথে কথা বলুন
কখনও মন খারাপের বিষয়টি একা নিজের মধ্যে রাখা উচিত না। নিজের মধ্যে পুষে রাখলে এটি আরো বেশি যন্ত্রণা দেয়। যে বিষয়টি নিয়ে বেশি মন খারাপ লাগছে সে বিষয়টি নিয়ে যতো কথা বলবেন ততো আপনার মন ভালো হবে।

কারণ কারো সাথে দুঃখটা ভাগ করে নিলে তা অর্ধেক হয়ে যায়। তাই মন ভালো করতে চাইলে পছন্দের কারো সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন।











