
গাড়ি কেনার বেশ কিছুদিনের মধ্যে অনেকের কাছে শুনি গাড়ির ইঞ্জিন ঠিকভাবে চালু হয় না, ইঞ্জিন হঠাত করে বন্ধ হয়ে যায়, নির্গমন পাইপ দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হয় কিংবা ইঞ্জিন কুলেন্ট ঠিকভাবে কাজ করছে না ইত্যাদি। অনেকে এই সমস্যাগুলো দেখলেও বুঝতে পারে না, আসলে গাড়ির কোথায় কোন জায়গায় সমস্যাটা হচ্ছে। তাই আজ সেসব সমস্যাগুলো নিয়ে লেখবো যেসব সমস্যাগুলো পরখ করলে বুঝতে পারবেন আপনার গাড়ির কোথায় কি সমস্যা। আশা করি এই সাধারণ ধারণা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে বেশ কাজে লাগবে।


১. ইঞ্জিন চালু না হওয়ার কারণ

১. জ্বালানি পাত্রে পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকলে।
২. জ্বালানি ফিল্টার পুরনো কিংবা ময়লা বেশি জমে গেলে।
৩. জ্বালানি চাপ কমে গেলে অথবা জ্বালানি পাইপের রাস্তায় কিছু আটকে থাকলে।
৪. জ্বালানি সিস্টেম থেকে যদি বাতাস নিঃসরণ হয়।
৫. ব্যাটারির ভোল্টেজ স্বাভাবিক থেকে কমে গেলে।
৬. তেল সরবরাহ সলিনয়েড ভালভ ঠিকমতো না খুললে।


২. গাড়ির গতি না বাড়ার কারণ
১. জ্বালানি সরবরাহ সিস্টেমে সমস্যা থাকলে।
২. লিফট পাম্প কাজ না করলে।
৩. বাতাস ফিল্টার ময়লায় জমে গেলে।
৪. জ্বালানি ইঞ্জেক্টর ঠিকভাবে কাজ না করলে।
৫. বাতাস ও জ্বালানি ফিল্টারে ময়লা জমলে।
৬. পেট্রল ইঞ্জিনের স্পার্ক প্লাগে সমস্যা হলে।


৩. গাড়ি আপনাআপনি হঠাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ
১. গাড়িতে অতিরিক্ত লোড হলে।
২. জ্বালানি সিস্টেমে বাতাস ঢুকলে।
৩. বাতাস ও জ্বালানি ফিল্টারে ময়লা জমলে।
৪. লোড দেয়ার সাথে সাথে গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া
১. বাতাস ফিল্টার ময়লায় জমে গেলে বা অব্যবহারযোগ্য হয়ে গেলে।
২. শর্ট সার্কিট হলে।




৫. নির্গমন পাইপ দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হওয়া

১. জ্বালানি পাম্পের সিলিং নষ্ট হয়ে গেলে।
২. জ্বালানি ইঞ্জেকশন চাপ, সেটার নিঃসরণে সমস্যা।


৬. ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া
১. ঠান্ডা বাতাস চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে।
২. বেয়ারিং এর গ্রিস কমে গেলে।
৩. রোটর বেয়ারিং গরম হয়ে গেলে।
৭. নির্গমন পাইপে ইঞ্জিন তেল বের হয়ে যাওয়া
১. ইঞ্জিনের তেলের ভালবে সমস্যা হলে।
২. গাইড পাইপ অথবা এর মাথায় সমস্যা হলে।
৩. বাতাস ফিল্টার ময়লায় জমে গেলে বা অব্যবহারযোগ্য হয়ে গেলে।
৮. নির্গমন পাইপে সাদা কিংবা নীল ধোঁয়া দেখা

১. ইঞ্জিন তেল ইঞ্জিনের সিলিন্ডারে ঢুকে গেলে।
২. পিস্টন রিংগুলো ঠিকমতো কাজ না করলে।
৩. পিস্টন ও সিলিন্ডার মধ্যকার ফাঁকার পার্থক্য বেড়ে গেলে।
৯. ইঞ্জিন কুলেন্ট গরম হয়ে যাওয়া
১. পানির পাম্পে সমস্যা থাকলে।
২. রেডিয়েটরে ময়লা জমে গেলে।
৩. ইঞ্জিনের কুলেন্টের পরিমাণ কমে গেলে।
১০. স্টারটিং মোটর চালু না হওয়া

১. স্টারটিং মোটরের সলিনয়েড তার নষ্ট হয়ে গেলে।
২. মোটরের সাথে তার কিংবা সুইচের সমস্যা।
৩. স্টারটিং মোটরের অন্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে।
১১. ইঞ্জিনে ঠিকভাবে শক্তি উৎপন্ন না হওয়া
১. থ্রোটল ভালভ ঠিকভাবে না খুললে।
২. ইঞ্জিন সিলিন্ডারে বাতাস ও জ্বালানির মিশ্রণ ঠিকভাবে না হলে।
৩. ইঞ্জিন সিলিন্ডারে অগ্নিদহন সময়মতো না হলে।
৪. জ্বালানি চাপে তারতম্য থাকলে।
৫. কারবুরেটরে অপ্রত্যাশিতভাবে বাতাস ঢুকলে বা বের হলে।
৬. পেট্রল ইঞ্জিনের স্পার্ক প্লাগে সমস্যা হলে।
৭. ইঞ্জিন তেল কমে গেলে।
৮. ইঞ্জিনে ইনটেক ভালভ ও নিঃসরণ ভালভের মধ্যে তারতম্য সৃষ্টি হলে।
৯. গ্যাস নিঃসরণে অতিরিক্ত পিছুচাপ সৃষ্টি হলে।
১২. ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পনের সৃষ্টি হওয়া

১. ইঞ্জিন স্থাপিত জায়গায় নড়বড়ে হলে।
২. স্পার্ক প্লাগের দহন প্রক্রিয়ায় সমস্যা হলে।
৩. কারবুরেটর স্থাপণ ঠিকভাবে না হলে।
৪. ক্রেঙ্কশ্যাফটে বেকে ফেলে।
৫. ইঞ্জিন সিলিন্ডারে অগ্নিদহন সময়মতো না হলে।
৬. ইঞ্জিন অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে গেলে।
৭. ইঞ্জিনে ইনটেক ভালভ ও নিঃসরণ ভালভের মধ্যে তারতম্য সৃষ্টি হলে।
১৩. ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কার্বন জমে যাওয়া

১. নিম্নমানের ইঞ্জিন তেল ব্যবহার করলে।
২. নিম্নমানের ইঞ্জিন জ্বালানি ব্যবহার করলে।
৩. অনেকদিন ধরে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার পরিষ্কার না করলে।
৪. পিস্টন রিং ক্ষয় হয়ে গেলে।











